জনগন
গনঅভূত্থানের জন্য প্রস্তুত
:
প্রয়োজন
সঠিক নেতৃত্বের
কাওসার
মাহমুদ (কোপেনহেগেন,
ডেনমার্ক):
বাংলাদেশে
গণতন্ত্রের সংজ্ঞা এখন নির্বাচনে
সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের রায় বা
শাসনে রুপ নিয়েছে বললে হয়ত
কেউ দ্বিমত করবেন না। একই সাথে
বাংলাদেশে প্রচলিত দ্বিধারার
রাজনীতিতে এই সংখ্যাগরিষ্ট
জনগণের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা
কোথায় তাও কিন্তু মোটামোটি
পরিস্কার নয়। জনগণের সঠিক
রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ না
ঘটলে দ্বিধারার রাজনৈতিক
দলগুলোর আনুগত্য কিংবা দাসত্বেই
আমাদের গণতন্ত্র ঘুরপাক খাবে
কিংবা স্পষ্টতভাবে বললে বলতে
হয় এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে
এই নিশব্দ ঘুর্ণণে শুধু জনগণেরই
ক্ষতি হচ্ছে না,
ক্ষতি
হচ্ছে প্রকৃত রাজনীতিরও -
এই
চেতনাবোধ যে নেই আমাদের সমাজে
তা কিন্তু মোটেই সঠিক নয়,
কিন্তু
সংখ্যাগত দিক থেকে অনেক কম
নিসন্দেহে। গণতান্ত্রিক
মূল্যবোধ সম্পন্ন জনগোষ্ঠির
সংখ্যা সংখ্যার ভিত্তিতে কম
হলে সেখানে কিভাবে গণতন্ত্র
প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব সেই
জিজ্ঞাসার উত্তর শুধু নির্বাচন
নয় সেটা অল্প-বিস্তর
সকলেই বুঝে। সেই সাথে নির্বাচন
পদ্ধতিতে দলীয় সরকারের প্রশাসনিক
প্রভাব,
প্রশাসনিক
লোকবলের নৈতিকতার অভাব ইত্যাদি
উপসর্গ যোগ হলে তথাকথিত সেই
গণতন্ত্র কতখানি ভয়ংকর এবং
বিপদজনক হতে পারে তার উর্বর
উদাহরণ হল আমাদের বাংলাদেশ।
ইতিহাস
সাক্ষ্য দিচ্ছে ১৯৭০ সালে
গণরায়ের পক্ষে ক্ষমতা হস্তান্তরে
পাকিস্তানী শাসকবর্গ অস্বীকার
করলে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের
মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের
অভ্যূদয় ঘটে। স্বাধীনতা পূর্ব
২৩ বছরের করুন ইতিহাসের আমাদের
জনগোষ্ঠিও গণতান্ত্রিক
মূল্যবোধের শাসন ব্যবস্থার
স্বপ্ন দেখেছিলো তা বলার
অপেক্ষা রাখে না। স্বাধীনতার
মাত্র তিন বছরের মধ্যেই বহুদলীয়
গণতন্ত্রের কিংবা গণতন্ত্রের
ধারনা থেকে বের হয়ে একদলীয়
শাসন ব্যবস্থার ধারনার প্রবর্তন
করা হয় সংবিধানের মৌলিক সংশোধনের
মধ্য দিয়ে যা ৪র্থ সংশোধনী
নামে পরিচিত। এই ধারনাটি
কতখানি অগণতান্ত্রিক কিংবা
যুক্তিযুক্ত সেই আলোচনাতে
না গিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন
তোলা সম্ভব। আবেগে বশীর্ভূত
হয়ে এই অগণতান্ত্রিক ধারনাকে
সামগ্রিক জনগোষ্ঠির মধ্যে
থেকে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠি
ধারন করে রাখে তবে সেখানে
কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন
করাটাই স্বাভাবিক। কেননা,
রাজনীতি
ধর্ম নয়,
রাজনীতিকে
ধর্ম বিশ্বাসের মত আবেগ দিয়ে
বিবেচনা করলে নির্বাচনে দিনের
প্রথম প্রহরেই মাঝিরা নিজ
নিজ নৌকা নিয়েই ভোট কেন্দ্রে
যাবে। রাজনীতি নদীর স্রোতের
মত সময়ের বিবর্তনে
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের
স্বার্থে,
গণমানুষের
মৌলিক উন্নয়নের স্বার্থে
রাজনীতির দিক-প্রকৃতি
পরিবর্তিত হয়,
তৈরী
হয় নতুন রাজনৈতিক ইস্যু।
স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে
দেশ-বিদেশের
রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুর
নানাদিকগুলোর উপর আমাদের
নিজস্ব যুক্তিসংগত মতামত
থাকা উচিত,
শুধু
ক্রিকেট নিয়ে না থেকে এ নিয়ে
বিস্তর আলোচনা করা উচিত-
এতে
যুব সমাজের রাজনৈতিক চেতনার
স্তর আরো উন্নত হবে। তবে এখানে
একটি কথা বলা উচিত,
বর্তমান
রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে
এক শ্রেণীর সুবিধাপ্রাপ্ত
এনজিও টাইপের নীতিবান শ্রেনীর
সুশীল তত্ত্বে আমাদের সমাজের
নতুন প্রজন্ম ধোকা খেয়ে
রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়ছে,
এবং
একই সাথে রাজনীতি এবং
রাজনীতিবিদদেরকে নেতিবাচক
সমালোচনা করা এদের একটি ফ্যাশনে
রুপ নিয়েছে। এই ফ্যাশনে অংশ
গ্রহন না করে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে
রাজনীতিতে আরও সক্রিয়ভাবে
প্রবেশ করে ধৈর্য্য সহকারের
এর ভিতরে গণতন্ত্রের চর্চা
বা অনুশীলনের চেষ্টা করতে
হবে। কারন,
একটি
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি,
সামাজিক
স্থিতিশীলতা,
সাংস্কৃতিক
মূল্যবোধ রক্ষা এবং সর্ব
প্রকার উন্নয়নের পূর্ব শর্ত
হলো সাম্রাজ্যবাদ শক্তিগুলোর
প্রভাবমুক্ত নিজস্ব রাজনৈতিক
সিদ্ধান্ত। একই সাথে স্থানীয়
সমস্যাগুলোর নানাবিধ কারণসমুহ
চিহ্নিত করে একে জাতীয় কাঠামোতে
কিভাবে সমাধান করা যায় তারও
পূর্বশর্ত হলো রাজনীতি।
রাষ্ট্র
এবং রাজনৈতিক দল পরিচালনাতে
গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোতে
ভিন্নতা নেই,
উভয়
ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা এবং
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা একান্ত
জরুরী। রাষ্ট্র বা সংবিধান
নিজে নিজে এটির নিশ্চয়তা দিতে
করতে পারবে না,
এটি
নিশ্চিত করতে হলে আমাদের
গণমানুষের সচেতনার প্রয়োজন,
শুধু
তাই নয়,
এই
সচেতনার প্রতিফলন থাকতে হবে
রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি-নির্ধারণে
এবং বাস্তবায়নে। রাজনৈতিক
দল এবং জনগোষ্ঠি কোন বিচ্ছিন্ন
উপাদান নয়। জনগোষ্ঠির রাজনৈতিক
চেতনার উন্মেষ,
জাতীয়
স্বার্থ রক্ষা করার উদ্দীপনা,
উন্নয়নের
মৌলিক ধারনার সৃষ্টি ইত্যাদির
কাঠামো ও বাস্তবায়নের কৌশল
নির্ধারনের দায়িত্ব হলো
রাজনৈতিক নেতৃত্বের। রাজনৈতিক
নেতৃত্বের দূর্বলতা আমাদের
কাম্য নয়,
বরং
ফটোসেশনের রাজনীতি,
দূর্নীতিবাজ
এবং সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে
রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুরে
থাকতে হবে। সঠিক রাজনৈতিক
নেতৃত্বই কেবল গণমানুষের
রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে
রাজার-নীতি
রাজনীতিকে গণ-নীতিতে
রুপ দিতে পারে-
এটাই
হলো প্রকৃত গণতন্ত্র। আর
স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব
দেশেই কেবলমাত্র বহুদলীয়,
বহুমতের
রাজনৈতিক কাঠামোতে প্রকৃত
গণতন্ত্র গড়ে তোলা সম্ভব
অন্যথায় এই ধারনার অস্তিত্ব
নেই।
বর্তমানে
দেশের আর্থ-সামাজিক
প্রেক্ষাপট,
রাজনীতি,
জাতীয়
নিরাপত্তা ইস্যু,
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব
সব কিছুই এখন গভীর সঙ্কটে
পড়েছে।
বাংলাদেশের
সীমান্তে ভারত প্রতিদিন
নির্বিচারে বাংলাদেশী নাগরিকদের
হত্যা করছে। বাংলাদেশী
নাগরিকদের ভারত সীমান্ত থেকে
ধরে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র
করে পিঠে বাঁশ বেঁধে মধ্যযুগীয়
বর্বরতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
অথচ সরকারের দায়িত্বশীল
মন্ত্রী বলেছেন,
এই
জাতীয় ঘটনা পূর্বেও ঘটেছে
এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে -
এইটা
লজ্জা,
জাতীয়
লজ্জা। শুধু এই কথার জন্যেই
তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতিরা
মামলা হতে পারে। এর আগে ভারতের
বিএসএফ পনের বছরের কিশোরী
ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারের
বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিল।
শুধু তাই নয়,
প্রায়
একই সময়ে ভারতের বিএসএফ একজন
বাংলাদেশী বিজিবি সদস্যকে
ধরে নিয়ে গিয়ে অবর্ণনীয়
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন
করেছে দু’দিন পর তাকে রক্তাক্ত
অবস্থায় ফেরত পাঠিয়েছে।
সরকারের আরেক মন্ত্রী বললে,
ওই
বিজিবি সদস্য নিরাপত্তার
জন্য নিজে গিয়ে বিএসএফের
কাছে ধরা দিয়েছিল। এই জাতীয়
বিচার-বহির্ভূত
হত্যার জন্য বিভিন্ন মানবাধিকার
সংগঠনগুলো রুটিন মাফিক প্রতিবাদ
জানিয়েছে। সুস্পষ্টভাবে বললে
খুব সহজেই বলা সম্ভব,
সরকার
নিজেই
ইচ্ছাকৃতভাবে
সঙ্কটগুলো এমনভাবে তৈরী
করছে,
যাতে
মনে হতে পারে জনগণ যেন কোথাও
ঠিকমতো স্থির হয়ে দাঁড়াতেই
না পারে। সরকারের ভারততোষণ
এমন নীচু
পর্যায়ে
পৌঁছেছে যে,
এদের
এখন আর বাংলাদেশী নাগরিকই
মনে হয় না,
মনে
হয় ভারতীয় বাংগালী।
যে
কেউই মনে
করতে
পারে,
বাংলাদেশটি
যেন এক উপনিবেশে পরিণত হতে
যাচ্ছে আর
এই সরকার সেই ঔপনিবেশিক শাসকদের
প্রতিনিধি মাত্র। এখানে
বলা প্রয়োজন,
ভারতের
‘বস্তা বস্তা টাকা আর পরামর্শে’
ক্ষমতায় আসা মহাজোট সরকার
তার কোনো প্রতিবাদ জানাতে
পারেনি এখন
অবধি।
ভারতীয়
গোয়েন্দা সংস্থা অনেক দিন
আগে থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
যাবতীয়
কর্মকাণ্ড
তদারক করে আসছে বলে
খবরে প্রকাশ,
যা
কোনো আন্তর্জাতিক আইনেই
গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে
বিপন্ন করে ভারতের কাছে
আত্মসমর্পণ করেছে সরকার
প্রধান। কথিত অভ্যুত্থান
পরিকল্পনার পরপরই ভারতের
প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে
দিয়েছেন,
”বাংলাদেশে
শেখ হাসিনা সরকারকে অগণতান্ত্রিক
উপায়ে উৎখাতের চেষ্টা করা
হলে ভারত তার পাশে দাঁড়াবে”।
অর্থাৎ ভারতের কাছে বাংলাদেশ
নামক রাষ্ট্রটি আর গুরুত্বপূর্ণ
নয়। এখানে উল্লেখ,
বিগত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র
উপদেষ্টা ইফতেখার সাহেব
বলেছিলেন,
তারা
ঢাকা-দিল্লীর
সম্পর্কে এমন এক জায়গায় নিয়ে
যাবেন সেখান থেকে ফেরার আর
সুযোগ থাকবে না। তারই অংশ
হিসাবে,
কিছুদিন
আগে ভারতীয় প্রবীন নেতা প্রনব
মুখার্জি ঢাকা ঘুরে গেলেন,
কিন্তু
দেশের বিরোধী নেতার সাথে না
দেখা করেই,
এই
সামান্য সোজন্যবোধেরও আওতায়
বাংলাদেশ পড়ে না এখন তাদের
কাছে।
সরকারের
অনৈতিক এবং অর্থনৈতিক
অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের
গ্রামীণ ও শিল্প অর্থনীতি আজ
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে
গেছে। বর্তমানে দেশে কোনো
দেশী-বিদেশী
বিনিয়োগ নেই,
শেয়ারবাজার
মৃতপ্রায়,
উচ্চ
মূল্যস্ফীতি ও জিনিসপত্রের
দামে ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের
মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে
উঠেছে। মালেয়েশিয়া,
দক্ষিন
কোরিয়াসহ মধ্যপাচ্যের
শ্রম-বাজার
ধবংস করে দিয়ে ওটা তুলে দেওয়া
হয়েছে ভারতীয়দের অনুকূলে।
বিদ্যুৎ,
তাপ-বিদ্যুৎ
সহ জ্বালানী খাতের নিয়ন্ত্রণভার
ভারতীয়দের হাতে তুলে দেবার
প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু
হয়ে গেছে। টেলি-যোগাযোগ
ব্যবস্থা নব্য ইস্ট ইন্ডিয়ান
কোম্পানী এয়ার-টেলকে
দেওয়া হয়েছে অতি সুক্ষ্মভাবে।
দেশের তরুন বা ছাত্র সমাজ যেন
এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে
সক্রিয় না হতে পারে তার যথাযথ
ঔষধ এখন তৈরীঃ ড্রাগ,
অপসংস্কৃতির
গান-বাজনা,
আকাশ
সংস্কৃতি ইত্যাদি আধুনিকতার
নামে দেশীয় সংস্কৃতির কাঠামো
ভেংগে দেওয়া ইত্যাদি,
এর
উদাহরন স্বরুপ দেখা যাবে
নিরপেক্ষতার চাদর গায়ে দিয়ে
আওয়ামী সুশীল শিক্ষিকের ছাত্রী
হলে ড্যান্স,
এর
নাম আধুনিকতা । ট্রানজিট,
ট্রানসশিপমেন্ট
ইত্যাদিকে কানেকটেভিটির
নামে প্বার্শবর্তী দেশকে এক
তরফা সুযোগ দেওয়া হচ্ছে,
সরকার
প্রধানের ভারত সফরে ৫০-দফা
যে স্মারক চুক্তির কথা বলা
হচ্ছে তার বিস্তারিত কিছুই
জানা যায়নি কিংবা আওয়ামী লীগের
নির্বাচনী ইশতেহারেও বিষয়টি
রাখা হয়নি। উপরন্তু ভারত সফর
শেষে সরকার প্রধান বলেছিলেন,
“জয়ী
হলাম আজ”। কিসের জয়,
তিতাস
নদীর বুক চিড়ে আজকে দেওয়া
হচ্ছে ভারতকে ট্রানজিট,
করিডোরের
ব্যবস্থা। এমনিতেই,
টিপাইমুখ
বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ
ক্ষুব্ধ।
এমতাবস্থায়,
রাজনৈতিক-সামাজিক
স্থিতিশীলতা,
অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক
মূল্যবোধ রক্ষা করে সকল প্রকার
ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড পরিহার
করে একটি গণমুখী আন্দোলন গড়ে
তুলার জন্যে জনগণ প্রস্তুত
রয়েছে -
প্রয়োজন
যোগ্য এবং নতুন নেতৃত্বের।
যে নেতৃত্ব নিশ্চয়তা দেবে
জনগণের চাহিদামূলক রাজনীতির
সনাতন-ধারার
আমূল পরিবর্তন,
থাকবে
জনগণের কাছে জবাবদিহিতা। এর
জন্যে আমাদের দরকার,
এক
দলীয় নয়,
বহুদলীয়
গণতন্ত্রের চর্চার বাস্তবায়ন-
প্রকৃত
গণতন্ত্র। দেশের জনগনকে রক্ষা
করতে হলে,
গণতান্ত্রিক
শাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে
হলে যে দেশপ্রেম প্রয়োজন তার
শেকড় প্রোথিত আছে বাংলাদেশী
জাতীয়তাবাদ রাজনীতির মূল
দর্শনে। আর তাই,
সার্বভৌমত্বের
রক্ষাকবচ শহীদ জিয়ার ১৯ দফা
বাস্তবায়নের রাজনৈতিক আন্দোলনের
নেতৃত্ব দিতে হবে জাতীয়তাবাদী
ধারার সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের।
কারণ,
দেশপ্রেমিক
জনগণ এখন প্রস্তুত আছে নতুন
জিয়ার আগমনের প্রতিক্ষায়।
Save
Bangladesh : No More Farakka
কাওসার
মাহমুদ
বিএনপি,
ডেনমার্ক
৩০শে
জানুয়ারি,
২০১২
No comments:
Post a Comment